ADD









কম্পিউটারের জাদুকর পর্ব : ১ , স্টিভেন জবস




আইজ্যাক  নিউটনের মাথায় আপেল পরে পদার্থ বিজ্ঞান এক ধাক্কায় শত বছড় এগিয়ে গিয়াছিল , সেই আপেল কে লোগো করে স্টিভেন  জবস একটা কম্পিউটার কোম্পানি প্রতিষ্টা করলেন অ্যাপল নামে , যা কিনা কম্পিউটার কে এক ধাক্কায় গবেষণাগার হতে  সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে এসেছিল ।
জন্ম হলো পার্সোনাল কম্পিউটার যা কিনা পরিবর্তন করেছিল জবস আর ভাগ্যর সাথে  সাথে আধুনিক বিজ্ঞানেও । তাকে বলা হতো "পাইরেটস অব সিলিকন ভ্যালি  "

  • স্টিভেন জবস কোনো গাড়িতে নম্বর ব্যবহার করতেন না , কারণ ক্যালিফোনিয়াতে  নম্বর ছাড়া ১ মাস গাড়ি ব্যবহার করা যেত , আর তার তিনি তা পরিবর্তন করতেন ।
  • স্টিভেন জবস ভারতে এশেছিলেন  সন্ন্যাসী হওয়ার জন্য।
  • ছিলেন একজন সেরা উদ্ভাবক তার একারই ৩১৩ টি পেটেণ্ট ।
  • স্টিভেন জবস একজন আন্ডার গ্রাজুয়েট পাস্
  • মাউসের আবিস্কারক
  • ২৫ বছর আগেই ভেবেছিলেন আইফোন নিয়ে 
লোহার চামচ মুখে নিয়ে জল্মেছিলেন ,না হলে এত বিপদেও লোকটা কেমনে শক্ত থাকতো ,কুমারী মা তার  জল্মের পর  দত্তক  দিলেন আইনজীবী দম্পতির কাছে।  শর্ত ছিল ছেলেকে  করতে হবে শিক্ষিত ।
তাই, জবস আর হাইস্কুল শেষে   বৃদ্ধ দম্পতির  তাদের  সমস্ত দিয়ে  তাকে ভর্তি করা করিয়েছিল ব্যায়বহুল রিড কলেজে । জবস বুঝতে পারেন এটা তার জীবনের মস্ত ভুল ,তাই ছেড়ে দিলেন লেখাপড়া , পরলেন চরম দৈনতায় । তখন ইচ্ছা হলো ভারতে এসে  সন্ন্যাসী হবেন , কিন্তু তার জন্য দরকার টাকা। পকেট তো  গড়ের মাঠ ।চাকরি নিলেন গেম নির্মাতা কোম্পানি আটারিতে । যাতায়ত ছিল হোমব্রিজে কম্পিউটার ক্লাবে সেখানে দেখা হল আরেক লিজ ন্ট  স্টিভ ওজনিয়াক আর সাথে , পরবর্তীতে  যার সাথে মিলে তৈরী করেছিলেন অ্যাপল কোম্পানি ।
চাকরি করে ট্যাগ ভারী হলে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পরলেন ইন্ডিয়ায় উদ্দেশ্য  , কিন্তু মাথা ন্যাড়া সাধু  জবস আমেরিকায় ফিরলেন ২ বছরের  মাঝেই।
 কিন্তু এই আত্তাধিক জ্ঞান কতটা তার  আত্মায়স্পর্শ  করেছিল তা সন্দেহ থেকেই যায় । ঘটনাটা তাহলে খুলেই বলি , ইন্ডিয়া হতে ফেরার পর জবস  আবার যোগ দিলেন আগের কোম্পানিতে । কোম্পানি তাকে  কাজ দিলো কিভাবে গেম সাকিট বোর্ডের চিপের সংখ্যা কমানো যায় । জবস সার্কিট ভালো বুঝতেন না, বুদ্ধিমান জবস ওজনিয়াক আর কাছে গেল 

জব্স : দোস্তো ওজ দেখতো এই সার্কিটার চিপ কমাতে পারোস কিনা ?
ওজ : আরে এটা কোনো ব্যাপার হল , .............. 

বুদ্ধিমান ওজ কয়েক দিনের মাঝেই কাজটা ঠিক ভাবে করে দিল । 
কোম্পানি খুশি হয়ে জবস কে দিলো ৫০০০ ডলার । টাকা নিয়ে জবস গেলেন ওজ এর  কাছে। ...

জব্স : ওজ, তুমি তো ভাই ফাটিয়ে দিয়াছ , কোম্পানি আমাকে খুশি হয়ে ৭০০ ডলার দিছে , এই নাও তোমার ৩৫০ আর এই আমার ৩৫০........... 

কিন্তু এতেই শেষ না চতুর জব্স ওজনিয়াক কে ব্যবহার করলেন আরো বড় কাজে । জব্স দেখলেন ওজ তার নিজের ব্যবহারের জন্য একটা কম্পিউটার ডিজাইন করেছে । জবস এই  কম্পিউটারে ভবিষৎ দেখতে পেল , কারণ এই কম্পিউটার তৈরী হলে তা খুব অল্প দামেই মানুষের কাছে পৌঁছানো যাবে।


জব্স : ওজ , চল একটা কম্পিউটার কোম্পানি খুলি। ...................
ওজ  : অরে , আমরা কি পারবোনাকি ?
জব্স : পারবোনা কেন?

আসলে জবসের এই মানুষিক ছিল তার জীবনের সেরা অস্ত্র , যা দিয়া ঘায়েল করেছে জীবনের সব বড় বড় বিপদ।  
তা বোঝা যাই স্যান্ডফোর্ড এ তে এই ভাষণ এ 

“Remembering that I’ll be dead soon is the most important tool I have ever encountered to help me make the big choices in life. Because almost everything.. all external expectations, all pride, all fear of embarrassment or failure…. these things just fall away in the face of death, leaving only what is truly important. Remembering that you are going to die in the best way I know to avail the trap of thinking you have something to loose. You are already walled. There is no reason not to follow your heart.”

১৯৭৮ সালে বাজারে এল অ্যাপল-১ , তারপর  অ্যাপল -২  কিন্তু ১৯৮০ তে যখন অ্যাপল-৩ আসলো মিলে  গেল দানে দানে তিন দান, কোম্পানির আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। 
লিসা

আরও পড়ুনঃ ২৪ বছর আগে স্মার্টফোন

কিন্তু অ্যাপলের এই কলা গুলো গেলো লিসার পেটে , না ইনি কোন রমণী নন , এটা ছিল একটা নতুন প্রজুক্তির কম্পিউটার কিন্তু এটা ব্যাবসায়িক ভাবে সফল না হওয়াতে লোকসানের মুখে পরে অ্যাপল, ব্যাবসার লালবাতি।  কিন্তু জবস জানতেন সময়ই সবচেয়ে সেরা শিক্ষক লালবাতি যখন জ্বলেছে সবুজ বাতি জ্বলতে তো সময় আর অপেক্ষা।  বিনিয়োগ করতে হবে সময় ও শ্রম , কিন্তু তা করার সময় পেলেন না জব্স। ১৯৮৫ সালে কোম্পানির  বোর্ড অব ডিরেক্টর খারাপ আচরণ  এর অজুহাতে ক্ষমতা কমাতে চাইলেন জবস এর।  এর প্রতিক্রিয়ায় ইতিহাস করলেন জব্স , ছেড়ে চলে এলেন নিজের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি ছেড়ে। 
কি করবেন তা নিয়ে যখন  ভাবছিলেন তখন ভোরের আলোর মতো এল এমিনেশন।
 ১৯৮৫ তে একটা এমিনেশন কোম্পানি ৫ মিলিয়ন ডলারে কিনে নাম দিলেন পিক্সারস , হ্যা  এটা সেই পিক্সারস যা কিনা টয়স্টোরী -১,টয়স্টোরি-২,বাগস লাইফ ,মনস্টার ইংকে  নামের কালজয়ী অ্যানিমেশন মুভি গুলোর জন্ম দিয়েছে। এরপর এল আরেক সফল কম্পিউটার প্রজুক্তি "NEXT" এর সাফল্য সিল আরো বেশি , এটাই প্রথম কম্পিউটার যেখানে E-mail এ  ছবি পাঠানো যেত ।
জবস যখন তার অ্যানিমেশন কোম্পানি আর NEXT computer নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে ওদিকে আপেল আর অবস্থা কাহিল। কোম্পানি বাঁচাতে ১৯৯৫ সালে ৫০২ মিলিয়ন ডলারে NEXT কে কিনে নিলো আপেল , এর মাধ্যমে আবার আপেল ফিরে এলেন জব্স।    এসে দেখলেন অবস্থা কাহিল প্রায় দেউলিয়া অবস্থা 
অ্যাপল বাঁচাতে নেস্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে আনলেন MacOSx computer দেখা পেল সাফল্য দেবীর , এর পর খুবদ্রুতই এল একের পর এক সফল কম্পিউটার iMac, iPod তাদের অন্যতম ছিল music software iTunes। আবার ফিরে পেলেন রাজত্ব ,২০০০ সালে নির্বাচিত হলেন আপেল  CEO। জব্স ২০০৩ সালে তার অ্যানিমেশন কোম্পানি পিক্সারস কে ডিজনি এমিনেশন এর কাছে বিক্রি করেন । যখন ডিজনিতে জব্স আর শেয়ার ছিল ৭% তখন খোদ ডিজনির প্রধান পরিচালক আর শেয়ার ছিল মাত্র ১%।

২০০৪ সালে জব্স ক্যান্সার ধরা পরে । হয়তো  ২০০৫ সালেই হতে পারতো তার জীবনের ইতি , কি হয়েছিল শুনুন তার মুখে ''''
প্রায় এক বছর আগের এক সকালে আমার ক্যানসার ধরা পড়ে। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে, এর থেকে মুক্তির কোনো উপায় নেই আমার। প্রায় নিশ্চিতভাবে অনারোগ্য এই ক্যানসারের কারণে তাঁরা আমার আয়ু বেঁধে দিলেন তিন থেকে ছয় মাস। উপদেশ দিলেন বাসায় ফিরে যেতে। যেটার সোজাসাপটা মানে দাঁড়ায়, বাসায় গিয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও। এমনভাবে জিনিসটাকে ম্যানেজ করো, যাতে পরিবারের সবার জন্য বিষয়টা যথাসম্ভব কম বেদনাদায়ক হয়।
৫অক্টোবর ২০১১ সালে মরার আগে প্রযুক্তি দুনিয়া পাল্টে দিয়েছিলো আপেল এর  কিছু পণ্য। .....


  • আইপড (২০০১)
  • আই টিউন স্টোর(২০০৩)
  • আইফোন (২০০৭)
  • আইপ্যাড (২০১০)   












        লেখকঃ                      










MD.RUSUL AZOM SUMON
CEO, azomtech
















No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.